বয়সের সাথে সুস্থ থাকার উপায়

বয়সের সাথে সুস্থ থাকার জন্য অনেকেই বিচলিত বোধ করেন।এটি  অনেকেই আবার ভাবিয়ে ও তোলে। বয়স বাড়ার সাথে সাথে আমাদের শরীর ও মন দুইই পরিবর্তিত হয়। এ যেন এক প্রাকৃতিক মেলবন্ধন।  তবে কিছু সহজ নিয়ম মেনে চললে বয়স বাড়লেও সুস্থ ও সবল থাকা সম্ভব। এখানে কয়েকটি প্রাসঙ্গিক উপায় তুলে ধরা হলো যা আপনাকে বয়সের সাথে সুস্থ থাকতে সাহায্য করবে।

১. স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস:
সুস্থ থাকার মূল চাবিকাঠি হলো স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস। পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ খাদ্য যেমন ফল, সবজি, প্রোটিন, ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ মাছ, এবং কম চর্বিযুক্ত দুধ ও দই খাওয়ার চেষ্টা করুন। খাদ্যাভ্যাসে প্রচুর আঁশ এবং কম চিনির ব্যবহার সুস্থতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

২. নিয়মিত ব্যায়াম:
বয়সের সাথে সুস্থ থাকার অন্যতম নিয়ামক হলো  নিয়মিত ব্যায়াম করা।  বয়স বাড়লেও নিয়মিত ব্যায়াম করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। হাঁটা, সাঁতার কাটা, হালকা ওজন তোলা, অথবা যোগব্যায়াম নিয়মিত করলে শরীরের নমনীয়তা বজায় থাকে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমে। প্রতি সপ্তাহে অন্তত ১৫০ মিনিট মাঝারি মাত্রার বা ৭৫ মিনিট তীব্র মাত্রার শারীরিক কার্যকলাপ করুন।

৩. মানসিক স্বাস্থ্য:
শারীরিক সুস্থতার পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্যও গুরুত্বপূর্ণ। নিয়মিত বিশ্রাম ও পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করুন। চাপ কমানোর জন্য মেডিটেশন, যোগব্যায়াম, অথবা সৃজনশীল কার্যকলাপে অংশগ্রহণ করতে পারেন। সামাজিক সম্পর্ক বজায় রাখা এবং বন্ধু-বান্ধবদের সাথে সময় কাটানো মানসিক শান্তির জন্য সহায়ক।

৪. স্বাস্থ্য পরীক্ষা:
বয়স বাড়ার সাথে সাথে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো  অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রাথমিক পর্যায়ে স্বাস্থ্য সমস্যা শনাক্ত হলে চিকিৎসার মাধ্যমে দ্রুত সুরাহা করা সম্ভব। স্নায়ুতন্ত্র, হৃদপিণ্ড, কিডনি, এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের পরীক্ষা নিয়মিত করাতে ভুলবেন না।

৫. পানি ও হাইড্রেশন:
পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে শরীরের হাইড্রেশন প্রয়োজনীয়তা বেড়ে যায়। প্রতিদিন অন্তত ৮-১০ গ্লাস পানি পান করার চেষ্টা করুন।

৬. নেশা জাতীয় দ্রব্য থেকে বিরত থাকা:
নেশা জাতীয় দ্রব্য যেকোনো বয়সের জন্য ই ক্ষতিকর।  কিন্তু সেটা আরো খারাপ হতে পারে আপনার স্বাস্থ্যের জন্য যদি শেষ বয়সে ও নেশা জাতীয় দ্রব্য গ্রহন করেন। তাই   অ্যলকোহল ও ধূমপান পরিহার করুন। এসব অভ্যাস শরীরের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে এবং বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি বাড়ায়।

বয়স বাড়লেও সুস্থ থাকা কোনো কঠিন কাজ নয়। সঠিক খাদ্যাভ্যাস, নিয়মিত ব্যায়াম, মানসিক শান্তি, নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা, পানি পান এবং স্বাস্থ্যকর অভ্যাস মেনে চললে আপনি দীর্ঘ সময় ধরে সুস্থ ও সক্রিয় থাকতে পারবেন।